ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

শ্রমিক সমাজের এখন বেঁচে থাকাই কষ্টকর: রিজভী 

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৬

শ্রমিক সমাজের এখন বেঁচে থাকাই কষ্টকর: রিজভী 
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি; প্রতিনিধি

শ্রমিক সমাজের এখন বেঁচে থাকাই কষ্টকর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে আগামীকাল মহান মে দিবসের সমাবেশ উপলক্ষে আলোচনাসভা করে শ্রমিক দল।

রিজভী বলেন, ১ মে, ঐতিহাসিক মহান মে দিবসে শ্রমিক দল আগামীকাল বুধবার দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টন বিএনপি অফিসের সামনে শ্রমিক সমাবেশ করবে এবং সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য শ্রমিক র‌্যালি নয়া পল্টন থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ করবে। এ বিষয়ে শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে পুলিশ কমিশনার বরাবর পত্র দিয়ে তাদেরকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান রিজভী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিবিএস এর হিসেব অনুযায়ী ১২ কোটি ভোটারের মধ্যে ৭ কোটি ৩৫ লাখ শ্রমিক। শ্রমিক সমাজের মর্যাদার জন্য একটি দিন বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে- মে দিবস। বাংলাদেশে আজ সবচেয়ে অবহেলিত শ্রমিক সমাজ। দব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জীবনযাত্রার ব্য়য় বৃদ্ধি, বাজার মূল্যের সাথে অসংগতি, কম মজুরিতে শ্রমিক সমাজের এখন বেঁচে থাকাই কষ্টকর। এছাড়াও সরকারের ফ্যাসিবাদী মনোভাব ও অগণতান্ত্রিক শ্রম আইনে মালিক পক্ষের স্বার্থকে প্রধান্য দেয়ায় শ্রমিক সমাজ সর্বত্র হয়রানিসহ নানাবিধ অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়া ও অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার থেকে দূরে ঠেলে দেয়া হয়েছে। উপরোক্ত প্রস্তাবিত অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল ২০২৩ এর মাধ্যমে শ্রমিক কর্মচারীদের দাবি উত্থাপনের অধিকারকে আইন করে বন্ধ কারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমজীবী মানুষের জীবন আজ ওষ্ঠাগত। সরকারের-গ্যাস বিদ্যুৎ এর দাম বৃদ্ধির ফলে এর প্রভাব শুধু সাধারণ জনগণের ওপরই নয়, উৎপাদন খাত শিল্প কলকারখানাগুলোতেও পড়েছে। ফলে বন্ধ হচ্ছে কলকারখানা। সরকারি খাতের পাটকল ও চিনিকলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে বেকার হয়েছে লাখ লাখ শ্রমিক। মানবেতর পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের পরিবার। টাকার অভাবে তাদের সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হচ্ছে। অন্যদিকে, সরকারি দপ্তরগুলোতে নিয়মিত পদ বিলুপ্ত করে আউট সোর্সিং নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ফলে শ্রমের ক্ষেত্রগুলো ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে শিক্ষিত লাখ লাখ বেকার। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সোনালী আশঁ খ্যাত পাটের উৎপাদন ও বিপণন বন্ধ, বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য তালিকার অন্যতম উপাদান আমাদের দেশে তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত চিনির পরিবর্তে ক্যামিকেলযুক্ত বিদেশি চিনির ওপর বিদেশ নির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশ হারাচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা।

অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন গঠন, শোভন কাজ, নিরাপদ কর্মক্ষেত্রসহ অন্যান্যদের মতো শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থার দাবিতে শ্রমিক শ্রেণি তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্লাটফর্ম হিসাবে শ্রমিক দল কর্তৃক আয়োজিত মে দিবসের শ্রমিক সমাবেশ ও র‌্যালিতে সর্বস্তরের শ্রমজীবী মানুষ অংশ নিবেন এমন বিএনপি আশা করে বলে জানান রিজভী।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত